Next Part...
এরপর সারাদিন টিনা,রাজু ও সুনীলের প্রতিদিনের রুটিন মত সারাদিন শেষ হলো।
আর সেদিন সারাদিন ক্লান্তির শেষে রাত্রিবেলায় স্টার জলসার সিরিয়াল দেখতে বসল মা টিনা।
এইখানে আকাশ নিল ,সিরিয়ালটি দেখার মাঝেই ...মায়ের মোবাইলে একটি ফোন এলো।ফোনটি তুলে ধরতেই....
(প্রসঙ্গত বলি একটি নতুন চরিত্র উদঘাটন হতে যাচ্ছে...রাজুর মাসী বিনা...বিনার স্বামী রবির(মেসো)হার্ডওয়্যার দোকান আছে। )
এই হল বিনা।।
বীণা: হ্যালো, আমি বীণা বলছি।
টিনা: অনেকদিন পর বুঝি তোর দিদিকে মনে পড়ল।ভুলেই তো গেছিস আমারে..আমাদের সকলকে।
বীণা: ওহ! দিদি তোদেরকে কি ভুল যাই! তোরা আছিস আমার মনের আকাশে!
টিনা: আর নকামু করতে হবে না মনে যদি কর্টিস তবে ফোন কর্তিস ।
বীণা: তুইও তো ফোন করিস নি।শুধু শুধু আমার দোষ দেওয়া।
টিনা: আগে তো আমিই ফোন করে খোঁজ খবর নিতাম ।তুই তো একটিবার নীতিশ না।তাই পরখ করছিলাম তোর কতখানি আমার প্রতি টান আছ এ?
বীণা: আর লজ্জা দিস না দিদি।যাইহোক যে কারণে ফোন করছি...টা বলার আগে বল কেমন আছিস টা বল?
টিনা: ভালোই আছি।ওহ! তাইতো বলি কেন ফোন করলি আবার তুই।।এই হলো কারন..
বীণা: তোর সাথেই কথাতেই পারে ওঠা অসম্ভব।।
একটু সময় নিয়ে...আর্বকথা না বাড়িয়ে সরাসরি প্রয়োজনের বার্তাটি বলেই দিল...
জানিস তো আমাদের হার্ডওয়্যার দোকান আছে।আর যে কর্মিতাল অর্ডার করতে কলকাতায় যাই,,সে বিশেষ দরকারে কলকাতায় যেতে না পারলে বর নিজেই যাচ্ছে অর্ডার করতে...কাল যাবে।আর ও বগেলে একা একা রাত দিন কাটাতে ভালো লাগছে না।তাই রাজুকে এখানে পাঠিয়ে দে না দিদি... ও তো সেই কবে এসেছিল। পাঠিয়ে দে না প্লিজ দিদি?
টিনা; ঠিক আছে । ও যেতে চাইলে যাবে।আমার আপত্তি নেই।তুই ও কে ফোন কর।কেমন।
বীণা: ঠিক আছে দিদি।আমার লক্ষী দিদি।
টিনা: আর নকমু করিস না বলছি।(হাসতে হাসতে)
বীণা: ও কে।দিদি।
এইরকম ভাবে নানান কথাবার্তা চলল টিনা ও বিনার মধ্যে।
এরপর টিনার কথা মত রাজুকে ফোন করে...
বীণা; হ্যালো।এটা কি রাজু!
রাজু: হাআমিই রাজু।আপনি কে? আপনার তো চিনলাম না।
।বীণা: এরে পাগলা,আমি তোর বীণা মাসী।কথা শুনেই বুঝিস না..একটুও আমায় মনে রাখিস নি।
।রাজু,(লজ্জা পেতে) : এরে মাসী।অনেকদিন পর,,আছ বলো তো আছ কেমন তুমি?
বীণা: ভালোই,তুই? আচ্ছা জেবকারণে ফোন করছি।।
রাজু: কি কারণে বলো না মাসী।
বীণা: তোর মেসো কলকাতায় যাবে আগামী কাল ।তাই একা একা থাকতে ভালো লাগবে না তাই রাজু বলি কি...তুই আমার এখানে এই।দু তিনদিন ঘুরে যা
রাজু; ঠিক আছে ।যাবো।মায়ের সাথেই কথা বলে জানাচ্ছি কেমন।
বীণা; তুই এখানে কাল এলে তোর মায়ের আপত্তি নেই ।
রাজু: তবে যাবো।মায়েরবকাচ হতে যেকোন সবুজ বার্তা ।
এইভাবে রযুর্ভসাতে আলাপন শেষ করে বীণা কোন সুনীল আনন্দ চিন্তা ধারায় কি যেনো ভাবতে থাকলো।। আর মনে মনে রাজু কাল রাতে তোর সাথেই কি খেলা খেলব রে.. তুই পাগল হহয়বপড়বি।নেশাই হবি পাগল।এমন সব দুঃখ সাগরের কথা ভাবতে ভাবতে, বিনাবঘুমিয়ে পড়ল।
এর পরের দিন...
রাজু স্কুল সেরে বাবা মাকে জানিয়ে...
বিকেল বেলায় বাইক চাপিয়ে মাসীর বাড়ির পথে রওনা দিলো।
আর একটু পরেই মাসীর বাড়ি পৌঁছে গেলো।